মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ তারেক র্যাগিং এর ভয়ে মানসিক ভাবে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। ২৮ তারিখ রাত ১১.৩০ ঘটিকায় এ ঘটনাটি ঘটে। মোঃ তারেকের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর সে র্যাগিং সম্পর্কে জানে এবং তার মধ্যে এর আতঙ্ক বিরাজ করে, গতকাল বিশ্বিবদ্যালয়ের পাশের এলাকার যে মেসটিতে সে থাকে সেখানে সিনিয়রদের আচরণে সে আরো সঙ্কিত হয়ে যায়। এক পর্যায়ে সে শুনতে পায়, মেসের মেইন গেট তালা দিয়ে তাকে র্যাগিং করা হবে। পরে সেই শিক্ষার্থী মেসের বিন্ডিং এর ছাদে উঠে এবং পাইপ বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করে এবং সে নিচে পড়ে যায়। এরপর সে আশে পাশের কিছু মানুষ দেখে তাদের কাছে সাহায্য চায়, এরপর কি ঘটে ছেলেটি আর বলতে পারেনি।
এরপর ঘটনাটি ছেলেটির বিভাগের সিনিয়ররা জানতে পরে এবং তাকে উদ্ধার করে। আনুমানিক রাত ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মীর মোঃ মোজাম্মেল হক ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ জায়েদুল হাসান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে নিয়ে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের চিকিৎসক ছেলেটিকে চেক-আপ করে ছাড়পত্র দিয়ে দেয়।
এ ঘটনা পর ২৯ মার্চ (মঙ্গলবার) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে মাননীয় প্রক্টর শিক্ষার্থী তারেকের সাথে কথা বলেন। প্রক্টর প্রফেসর ড. মীর মোজাম্মেল হক র্যাগিং এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকার কথা বলেন।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা বিভাগে তারেকের সাথে কথা বলেন। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আজহারুল ইসলাম জানান, ছেলেটি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে, সে আর ক্লাস করতে চাচ্ছে না। আমরা সকল শিক্ষক তাকে মানসিক ভাবে যাতে ভেঙ্গে না পড়ে ভয় না পায়, সে জন্য কাউন্সিলিং করেছি " তিনি এ ঘটনার কারণ হিসেবে ক্যাম্পাসের র্যাগিং এর মত সামাজিক ব্যাধিকে দায়ী করেছেন।
পরে ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর একটা অভিযোগ পত্র জমা দেয়।