তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আজ সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেরিয়ার সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা মানিক শীলের সিপিএস বিভাগের অনুসারী আবিদ হাসান, অপু, শাহজাহান সহ কয়েকজন গনিত বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা নিবিড় পালের অনুসারী প্রান্ত দত্তকে ক্যাফেটরিয়া থেকে হলের দিকে ফেরা পথে মারধর করে ।
এরপর নিবিড় পালের অনুসারীরা লাঠি সোটা নিয়ে জননেতা আব্দুল মান্নান হল থেকে বের হয়, হলের নিচ থেকে কয়েকজনকে ধাওয়া দিলে তারা মেয়েদের আলেমা খাতুন ভাসানী হলের মেইল গেট দিয়ে ঢুকে পড়ে, এরপর হলের রাস্তায় দুই পাশে তারা লাঠি সোঠা নিয়ে অবস্থান করে, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে প্রক্টর এর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মীর মোঃ মোজাম্মেল হককে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ঘটনা স্থলে আসতে দেখা যায় নি। মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করতে গেলেও তাকে পাওয়া যায় নি।
এসময় প্রায় তিন ঘন্টা ধরে দুইটি মেয়ে হলের মেয়েরা আটকা ছিল, হলের বিন্ডিং ও মেইন গেটে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। ভেতর থেকে বাইরে এবং বাইরে থেকে কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে পারছিল না।
বেলা ১.৩০ এর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল প্রোভোস্ট নাজমুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ মাসুদার রহমান, আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাহীন উদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের সরকারী অধ্যাপক শাকিল মাহমুদ শাওন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ. কে. এম. আয়াতুল্লাহ হোসনে আসিফ প্রমুখদের উপস্থিতিতে সাবেক ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক নিবিড় পাল এবং মানিক শীল, ডীন অফিসের সামনের গেটের আসেন। নিবিড় পাল সম্মানিত শিক্ষকদের সাথে কথা বলেন এবং তার অনুসারীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার, ৩১ মে ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চের পাশের দুইটি আম গাছে গনিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা আম পাড়তে গেলে, সেখানে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফাস্ট ফুডের দোকানের পরিচালক, সিপিএস বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান আম পাড়তে বাধা দেয় এবং গাছ থেকে নামিয়ে মারধোর এর অভিযোগ শোনা যায়। এরপর গনিত বিভাগের নিবিড় পালের অনুসারীদের সাথে সিপিএস বিভাগের মানিক শীলের অনুসারীদের কয়েক দফায় মারমারির ঘটনা ঘটে এবং শেষ পর্যন্ত আপসের খবর পাওয়া যায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আজকে সকালে দুইটি গ্রুপের মধ্যে এ সংষর্ষ শুরু হয়। বর্তমানে ক্যাম্পাসটিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে