আগের নম্বর রেখেই এক সিমের গ্রাহকেরা একে অন্যের নেটওয়ার্কে গিয়ে তাদের কলরেট ও ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহার করার পদ্ধতি আজ থেকে চালু হয়েছে। পহেলা অক্টোবর সোমবার থেকে দেশে এই মোবাইল ফোন নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ফলে এখন থেকে দেশের গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের গ্রাহকেরা বিভিন্ন প্যাকেজ ব্যবহার করতে পারবেন, কিন্তু নম্বর থাকবে আগেরটাই। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর রমনায় বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান জহুরুল হক। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ১৭ জন গ্রাহক এই সেবা গ্রহণের মাধ্যমে অপারেটর পরিবর্তন করেছেন। আজ থেকে এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো। এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। অপারেটর বদলাতে গ্রাহককে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য নিয়ে যে অপারেটরে যেতে আগ্রহী সেটির কাস্টমার কেয়ার বা সেবাকেন্দ্রে যেতে হবে। স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু থাকায় গ্রাহকদের ছবি লাগবে না। কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে নির্ধারিত ফি জমা দিলে গ্রাহককে নতুন সিম দেওয়া হবে। নিয়ম অনুযায়ী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নতুন সিম চালু হওয়ার কথা। একবার অপারেটর বদলালে গ্রাহককে নতুন অপারেটরে ৯০ দিন থাকতে হবে। জুলাই মাসে এমএনপি নীতিমালা চূড়ান্ত করার সময় বলা হয়েছিল—অপারেটর পরিবর্তনে গ্রাহককে ৩০ টাকা ফি বা মাশুল দিতে হবে। অবশ্য চালুর আগে তা বাড়িয়ে ৫০ টাকা করেছে বিটিআরসি। তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো