বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইসের কারনে ২০১৯ সালের ১৬ই মার্চ হতে বন্ধ আছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম। দীর্ঘ সময়ের শিক্ষা বিরতির কারনে শিক্ষার্থীদের মেধা ক্ষয়ের পাশাপাশি তাদের মনের উপরও ক্ষতিকর প্রভাব পরছে । দেশের সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান চালু হলেও বন্ধ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করােনা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন গত ২১ শে জানুয়ারি অর্থাৎ ১ মাস আগে বাংলাদেশে আসলেও শিক্ষার্থীদের এখনাে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এমতাবস্থায় শিক্ষকরা কি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা ভাবছেন কিনা এ নিয়ে সংকোচ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ,ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তাইবুর রহমান। তিনি শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাক্সিন দিয়ে দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার দাবি জানান।
গতকাল ২১ ফেব্রুয়ারী রবিবার, তিনি তার নিজ ফেসবুক টাইমলাইনে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দেন। তার পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো :
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারন শিক্ষার্থী হিসেবে লিখলাম।
বাংলাদেশে এমন কোন শিক্ষাবিদ কি আছেন যিনি
শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করেন?
শিক্ষার্থীদের মনের চাওয়া বুঝতে পারেন?
আমরা চাই বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন উপাচার্য, যাঁরা শিক্ষার্থীদের উপর কোন আঘাত আসার আগে দুই হাত প্রসারিত করে নিজের বক্ষ পেতে দিবেন।
কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন, কারন শিক্ষার্থীরা মনে করে পিতামাতার পরে শিক্ষকদের স্থান আর আপনারা মনে করেন এতগুলো সন্তানের দায়িত্ব কিভাবে নিব।
সরকার কি সিদ্ধান্ত দেয় সেটা তাদের ব্যাপার।
কিন্তু আপনারা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন দ্রুত শেষকরার ব্যাপারে গঠনমূলক প্রস্তাবনা সরকারের কাছে উপস্থাপন করতে পারতেন।
করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন গতমাসের ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসেছে আর আজ ২১ ফেব্রুয়ারী।
শিক্ষার্থীদের কথা আর কেউ চিন্তা করুক বা নাই করুক অন্ততপক্ষে আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল উপাচার্যরা একটা প্রস্তাবনা দিতে পারতেন সরকারের কাছেঃ #শিক্ষার্থীদের_ভ্যাকসিন_দিয়ে_শিক্ষা_কার্যক্রম_পুরোদমে_চালুকরা_হোক ।
তৌহিদ আহামদ সাকিব
ডুয়েট প্রতিনিধি